, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


মুক্তির পর আরব আমিরাত থেকেই ফিরতে চান নাবিকরা

  • আপলোড সময় : ১০-০৪-২০২৪ ১০:১৩:০৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৪-২০২৪ ১০:১৩:০৬ পূর্বাহ্ন
মুক্তির পর আরব আমিরাত থেকেই ফিরতে চান নাবিকরা
এবার সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের কবলে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এখনো মুক্ত হয়নি। দ্রুতই জাহাজটি মুক্তি পাবে এমন আশা করছেন মালিকপক্ষ। জাহাজটি মুক্তির পর যাতে দ্রুত নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, তাই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ। এমনটিই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জাহাজটি মুক্ত হলে নাবিকেরা কোথা থেকে সাইন অফ করবেন তথা জাহাজের কর্ম হতে অব্যাহতি নিবেন, তার তালিকা জাহাজের ক্যাপ্টেনকে দেওয়ার জন্য মালিকপক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । সেই নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) নাবিকরা একটি তালিকা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি।
 
সূত্র জানায়, মালিকপক্ষের নির্দেশনার পরজাহাজের ২৩ নাবিকের মধ্যে ১৮ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকে সাইন অফ করবেন বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে বাকি পাঁচজন সাইন অফ করবেন।

এদিকে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে। আশা করছি, কম সময়ের মধ্যে নাবিকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করতে পারব।

কয়লা নিয়ে জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে দস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজটি মুক্ত হলে প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি বন্দরে নেওয়া হবে। সেখানে কয়লা খালাসের পর চট্টগ্রাম বন্দরে আসার কথা রয়েছে।

আর তাই নাবিকদের মধ্যে কারা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সাইন অফ করবেন, তাদের তালিকা প্রস্তুত করছে মালিকপক্ষ। যতজন নাবিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকে নেমে যাবেন, ততজন নাবিক বাংলাদেশ থেকে সেখানে পাঠানো হবে।

এর আগে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নেওয়ার ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে। দর-কষাকষির পর দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কবির গ্রুপ। তবে এখনো চূড়ান্ত সমঝোতার কথা বলেনি তারা।
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’